গ্রাডিয়্যান্ট টুলটি ফটোশপে খুবই গুরত্বপূর্ন ও উপকারী টুল বিশেষ করে ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য।এ টুলটি পেইন্ট বাকেট টুলের সাথেই থাকে।টুলটি বের করতে G এবং তারপর Shift+G প্রেস করুন তাহলে পালাক্রমে গ্রাডিয়্যান্ট টুল ও পেইন্ট বাকেট টুল আসতে থাকবে।
এ টুলটির ব্যবহার সহজ কিন্তু বুঝতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।সিলেক্টকৃত কোন অংশ বা কোন ক্যানভাসের উপর দিয়ে মাউস পয়েন্টারটি ক্লিক করে চেপে ধরে ড্রাগ করুন(টানুন)।ড্রাগ(টান) যত লম্বা হবে গ্রাডিয়্যান্ট এর ঢালুও তত লম্বা হবে।এ টুলের সমস্ত নিয়ন্ত্রন পয়েন্টারের ড্রাগিং (টানের)এর উপর নির্ভর করে।Shift key চেপে ধরে টানলে দেখুন কিভাবে গ্রাডিয়্যান্ট টা তৈরী হয়।
গ্রাডিয়্যান্ট টুল সিলেক্ট করে ড্রাগ করে Fill করা।
এ টুলটিতে দক্ষতা আনতে হলে অনেক সময় ও অনুশীলনের প্রয়োজন।এর উপরিভাগের রং এর সাথে সময় ব্যায় করুন এবং বিভিন্ন ভাবে গ্রাডিয়্যান্ট দেয়ার চেষ্টা করুন,টুলটির ভিতরের অন্যান্য বৈশিষ্টের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে।
গ্রাডিয়্যান্ট টুল অপশন বার
এ অপশন বারটি(খন্ড) গ্রাডিয়্যান্টকে পরিবর্তন করার মত অনেক বৈশিষ্ট্য বহন করে।গ্রাডিয়্যান্ট টুলটি সিলেক্ট করলেই উপরে Preset(=পূর্বেই ঠিক করে রাখা যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করবে) সহ আইকন গুলো দেখাবে।
এখানে ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য ঠিক করতে পারেন।
গ্রাডিয়্যান্ট টুল এডিটর
উপরেই বলেছি যে গ্রাডিয়্যান্ট পরিবর্তনযোগ্য।গ্রাডিয়্যান্ট এডিটরে ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দেয়া যায়।গ্রাডিয়্যান্ট টুল অপশন বারে অবস্থিত গ্রাডিয়্যান্ট টুল আইকনটির ডানে ড্রপডাউন লিস্টে ক্লিক করুন।
এই এডিটরটি ফটোশপের বিল্ট ইন Preset এর লিস্ট সহ হাজির করে ও প্রতিটি Preset এর বিস্তারিত লিস্ট আসে।এই Preset গুলো পরিবর্তনযোগ্য।
প্রথম দুটি ফিল্ড আপনাকে গ্রাডিয়্যান্ট এর নাম এবং ধরন পরিবর্তনের সুযোগ দেয়।২ ধরনের গ্রাডিয়্যান্ট আছে Solid ও Noise.
পরবর্তী ফিল্ডটি দুটি রং এর মিলনস্থল মসৃন করতে পারে।এটি ব্যবহার করে দেখুন কি ঘটে।
প্রথম দুটি ফিল্ড আপনাকে গ্রাডিয়্যান্ট এর নাম এবং ধরন পরিবর্তনের সুযোগ দেয়।২ ধরনের গ্রাডিয়্যান্ট আছে Solid ও Noise.
পরবর্তী ফিল্ডটি দুটি রং এর মিলনস্থল মসৃন করতে পারে।এটি ব্যবহার করে দেখুন কি ঘটে।
New বাটনে ক্লিক করে নুতুন গ্রাডিয়্যান্ট তৈরী করে Preset এর ইচ্ছেমত নাম দিয়ে সেভ করতে পারেন।এডিটরের নিচে ইমেজটি/ছবিটি প্রিভিউ হিসেবে কাজ করে।এই ছবির উপরে ও নিচে স্লাইডার/নির্দেশক থাকে।উপরের স্লাইডারগুলোর নাম Opacity Stopper আর নিচেরগুলোর নাম Color Stopper .স্লাইডার গুলো ক্লিক বা ড্রাগ ১-১০০ এর মধ্যে ভ্যালু সেট করা যায়।এগুলো গ্রাডিয়্যান্ট এর মিলনস্থল মসৃন করে ও অন্য কোন ইমেজের উপর গ্রাডিয়্যান্ট তৈরী করে।আপনি অতিরিক্ত স্লাইডার যোগ করতে পারেন ইমেজের (যার উপরে নিচে স্লাইডার অবস্থিত)সীমানায় ক্লিকের মাধ্যমে।
উপরের এবং নিচের স্লাইডের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে উপরের গুলি Opacity(=অনচ্ছতা)সেট করে আর নিচের গুলি গ্রাডিয়্যান্ট এর কোন পয়েন্টে রং সেট করতে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিটি স্লাইডার এর মাঝখানে অবস্থিত পয়েন্টটি ইচ্ছেমত সরিয়ে গ্রাডিয়্যান্ট এর মধ্যে পরিবর্তন আনা যায়।আবার ইচ্ছেমত স্লাইডারও যোগ করা যায়।এটা থেকেই অনুমান করা হয় যে গ্রাডিয়্যান্ট এ অসংখ্য পরিবর্তন হতে পারে।এজন্যই এ টুলটি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন।
গ্রাডিয়্যান্ট এর ধরন/Type
গ্রাডিয়্যান্ট এর অপশন বারে অবস্থিত বিভিন্ন আইকনগুলিতে ক্লিক করে গ্রাডিয়্যান্ট এর ধরন পাল্টানো যেতে পারে।এখানে ৫ টি ধরন আছে।
- Linear
- Radial
- Angle
- Reflected
- Diamond
ডিফল্ট হিসেবে Linear সিলেক্ট করা থাকে।অন্যান্য গুলি সিলেক্ট করলে কেমন হয় চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেই।
- রেডিয়াল গ্রাডিয়েন্ট (Radial Gradient)
- এনজেল গ্রাডিয়েন্ট (Angle Gradient)
- ডায়মন্ড গ্রাডিয়েন্ট (Diamond Gradient)
Reverse check box এ ক্লিক করা থাকলে এখন যেমন দেখাচ্ছে তার বিপরীত রকম দেখাত।Opacity ও Blending Option ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর ইফেক্ট তৈরী করতে পারেন।
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.